কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় ৮টি উপায়


কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। এই সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের জানা খুবই প্রয়োজন। অতিরিক্ত পেটের চর্বি বা ভুঁড়ি থাকলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পেটে অতিরিক্ত চর্বি মেদ বা ভরে অনেকের জন্য একটি অস্বাস্থ্যকর জিনিস।

কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়-৮টি-উপায়

আমাদের কিছু ছোট ছোট অস্বাস্থ্যকর খাবার বা অভ্যাস রয়েছে। যেগুলোর কারণে আমাদের পেটের চর্বি বা মেদ বেড়ে যায়। আজ এই আর্টিকেলে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় ৮টি উপায়

কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায় 

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। এটা যদি আমরা জানতে চাই তাহলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে যে কোন কোন কারণে আমাদের পেট চড়বে বেড়ে যায়। আমাদের অতিরিক্ত ঘুমের কারণে পেটে চর্বি বাড়ে। কোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়ার কারণে চর্বি বেড়ে যায়। বেখেয়ালে খাবার খাওয়ার কারণে চর্বি বেড়ে যায়। যতটুকু আমাদের খাওয়ার প্রয়োজন তার থেকে বেশি খেলে পেটের চর্বি বেড়ে যায় ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট 100%

আরো অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো করলে আমাদের পেটের চর্বি বেড়ে যাবে। আর এ পেটে চর্বি বেড়ে গেলে আমাদের উঠতে, বসতে এবং ঘুমাতে অনেক সমস্যা হবে। পেটে চর্বি থাকার কারণে অনেকে অনেক অস্বস্তিকর বোধ করে। তাই আমাদের কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। এই সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিজের আর্টিকেলটি করুন।

অস্বাস্থ্যকর ঘুমের কারণে পেটের চর্বি বেড়ে যায় 

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। অস্বাস্থ্যকর ঘুমের কারণে পেটের চর্বি বেড়ে যায়। আপনি যদি এটা শুনে অবাক হবেন যে ঘুম পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের সাথে ওজন বেড়ে যাওয়ার কিছু সম্পর্ক রয়েছে। এগুলোর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। আপনি যদি রাত জেগে কাজ করেন।

তাহলে আপনার অনেক কিছু খেতে ইচ্ছে করবে। এভাবে খাওয়ার ফলে আপনার অতিরিক্ত যে ক্যালোরি বৃদ্ধি হচ্ছে। সেটার কারণে আপনার মেদ বা চর্বি বেড়ে যায়। আপনি যদি সে সময় ঘুমিয়ে থাকতেন তাহলে আপনার অতিরিক্ত খাবার খাওয়া দরকার হতো না। এবং অতিরিক্ত যে ক্যালোরি সেটা আপনার বৃদ্ধি হতো না।

আমরা রাতের কাজ করার সময় যে খাবারগুলো বেছে নেই। সেগুলো হল অতিরিক্ত চিনি যুক্ত বা ক্যালোরি যুক্ত। সেই খাবারটি আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর কিনা সেটা আমরা ভেবে দেখি না। অতএব আমরা যদি সঠিক সময় ঘুমাই রাত না জাগি। তাহলে আমাদের অতিরিক্ত খাবার দরকার হবে না। এবং আমাদের মেদ বা চর্বি বাড়বে না। তাই আমরা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ঘুমাবো এবং শরীরের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের রুটিন ঠিক করে নেব। আমাদেরকে দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।

কোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়ার কারণে পেটে চর্বি বাড়ে 

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। কোন বেলার খাবার বাদ দিলে পেটের চর্বি বেড়ে যায়। এটা সঠিক একটি বিষয়। আপনার যদি এমন অভ্যাস থাকে যে, আপনি কোন বেলার খাবার বাদ দেন। তাহলে আপনি এই অভ্যাসটি এখনই ছেড়ে দেন। আমরা যদি কোন বেলার খাবার বাদ দেই। তাহলে আমাদের পেটের চর্বি বেড়ে যাবে। এর কারণ হলো ধরুন আপনি সকালে খাবার বাদ দিয়েছেন।

তারপর আপনি একবারে দুপুরে খাচ্ছেন। তাহলে দুপুরে গিয়ে আপনার খাবার প্রবণতা বেড়ে যাবে অনেক গুনে। এই কারণে সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে একেবারে দুপুরের খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করা যাবে না। আমাদেরকে সঠিক সময় সঠিকভাবে খাবার খেতে হবে। যে খাবার যখন খাবার সময় তখনই খেতে হবে। সকালের খাবার সকালে খেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে অনলাইনে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়

দুপুরের খাবার দুপুরে খেতে হবে। এবং রাত্রের খাবার রাত্রে খেতে হবে। যদি আপনি এই নিয়ম মেনে চলতে পারেন। তাহলে আপনার পেটের মেদ বা চর্বি খুব সহজেই কমে যাবে। এবং আপনাকে খাবার খেতে হবে পরিমাণ মতো। আর যদি কোন সময় কোন খেলার খাবার বাদ পড়ে যায়। তাহলে পরের যে কোন এক বেলায় আপনি খাবার সময় খেয়াল রাখবেন যে, যেন বেশি খাওয়া না হয়ে যায়।

বেখেয়ালে খাবার খাওয়ার কারণে পেটের চর্বি বেড়ে যায় 

বেখেয়ালে খাবার খাওয়ার কারণে পেটের চর্বি বা মেদ বেড়ে যায়। কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে। যারা খাবার খাওয়ার সময় আনমনে অর্থাৎ খাবার খাওয়ার সময় খেয়াল নেই এমন ভাবে খায়। এভাবে খেতে খেতে অনেক সময় বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়। আপনি যদি খাবার সময় ব্যস্ত থাকেন। তাহলে আপনার মাথায় এটা থাকে না যে আপনি কতটুকু খাচ্ছেন।

বেখেয়ালে-খাবার-খাওয়ার-কারণে-পেটের-চর্বি-বেড়ে-যায়

আপনি বা আমি যদি খাবার সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকি। তাহলে বোঝা একেবারেই মুশকিল যে, আমরা খাবার কতটুকু খেলাম। আর আমাদের এই অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটের চর্বি বা মেদ বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় আমাদের মধ্যে দেখা যায় যে, ক্ষুধা নেই তবুও টিভি বা মোবাইল দেখার সময় হালকা নাস্তা হিসেবে মুড়ি বা তেলে ভাজা জিনিস ও চানাচুর এগুলা আমরা খাচ্ছি।

এই খাবারগুলো অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে আমাদের পেটের চর্বি বা মেদ বেড়ে যায়‌। কারণ আমরা বেখেয়ালে খাচ্ছি। এই আনমনে খাবার খাওয়া বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদের চর্বি কমাতে হলে আনমনে বা বেখেয়ালে খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। তাহলে আমাদের পেটের চর্বি কমে যাবে।

যে খাবারগুলো পেটের চর্বি বা মেদ কমায় 

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। যে খাবারগুলো খেলে পেটের চর্বি বা মেদ কমানো যায়। সবুজ চা, গ্রীক দই, কাজুবাদাম, স্ট্রবেরি, চিয়া সিড, সবুজ শাক, ডিম, আপেল সিডার ভিনেগার, সালমান ফিস, জাম্বুরা, নারিকেলের তেল, চর্বিহীন মাংস, মটরশুটি, শাকসবজি, লাল মরিচ, আপেল, মিষ্টি আলু, কলা, ডালিম, মসুরের ডাল, মাশরুম, আনারস, রসুন, হলুদ, তরমুজ, শশা, ও খিরা ইত্যাদি আরো অনেক খাবার রয়েছে। যেগুলো খেলে পেটের চর্বি বা মেয়েদের কমানো যায় খুব সহজে।

চিন্তাভাবনা বেশি করার কারণে পেটের চর্বি বা মেদ বেড়ে যায় 

চিন্তাভাবনা বেশি করার কারণে আমাদের পেটের চর্বি বা মেদ বেড়ে যায়। আমাদের যদি অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা বা মানসিক চাপ থাকে বা স্ট্রোকের কারণেও আমাদের শরীরের চর্বি বা মেয়ের জমাতে পারে। আমরা যখন দিনের পর দিন মাসের পরে মাস চিন্তাভাবনা বা মানসিক চাপে ভুগি।

তাহলে আমাদের শরীরে একটি কর্টিসল নামক একটি হরমোন বৃদ্ধি পায়। এই কারণে আমাদের শরীরের মেদ বা চর্বি বেড়ে যায়। আর এই হরমোনটি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে আমাদের অতিরিক্ত চিনি যুক্ত বা ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া ইচ্ছা হয়। আর আমরা যদি এই অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই।

তাহলে আমাদের পেটের মেদ বা চর্বি অনেক বৃদ্ধি পাবে। যেটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই অস্বস্তিকর একটি বিষয়। তাই আমাদের কে চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে সাধারণভাবে জীবন যাপন করতে হবে। তাহলে আমাদের শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।

শুয়ে বসে না থেকে এক্টিভ হলে চর্বি কমে যায়

শুয়ে বসে না থেকে এক্টিভ হলে আমাদের পেটের চর্বি কমে যাবে। আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা খুব অলস তাদের কে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। শুয়ে বসে থাকা যাবে না। শুয়ে বসে থাকলে পেটের মেদ বা চর্বি বেড়ে যায়। এটা আমাদের সকলেরই জানা কথা। এটার খুব একটি সহজ সমাধান রয়েছে। সেটি হল সপ্তাহে প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন বিশ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি করতে হবে সকালে।

প্রতি সপ্তাহে মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘন্টা হাটা হাটি বা দৌড়াদৌড়ি করলে পেটের চর্বি বা মেদ কমে যাবে। এই দৌড়াদৌড়ি করার কারণে আপনার অনেক রোগব্যাধির সংক্রমণ হবে। রাতারাতি চর্বি কমানোর চিন্তাভাবনা করবেন না। কারণ এটা এই চর্বি আপনার জমেছে অনেক দিনে।

শুয়ে-বসে-না-থেকে-এক্টিভ-হলে-চর্বি-কমে-যায়

এটা শুধুমাত্র এক সপ্তাতে কমবে না। আপনি হাঁটাহাঁটি চালিয়ে যান এবং অনেক ধরনের ব্যায়াম করুন। তাহলে আপনার শরীরের মেদ বা চর্বি কমে যাবে। আপনি এগুলো ঘরে বসে বা জিমে গিয়ে করতে পারেন। তাই অতিরিক্ত শুয়ে বসে না থেকে ব্যায়াম করুন এবং শরীরের মেদ বা চর্বি কমান।

দ্রুত খাবার অভ্যাস বাদ দিলে পেটের চর্বি কমে যাবে 

দ্রুত খাবার অভ্যাস বাদ দিলে পেটের চর্বি বা মেদ কমে যাবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা খুব দ্রুত খাবার খায়। খুব দ্রুত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের হজম হতে সমস্যা হয়। আমরা যখন খাবার শুরু করি। খাবার খাওয়া শুরু করার পর আমার সেই খাবারটি আমাদের পেটে মিলে পাকস্থলির সাথে মস্তিষ্কে কিছু  সংকেত পৌঁছায়।

সহজভাবে বলতে গেলে তা হলো পেটের সাথে মাথার যোগাযোগ হয়। পেট ভরেছে কি ভরে নেই এটা ব্রেনের বুঝতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। আপনি যদি দ্রুত খাবার খান। তাহলে বেশি পরিমাণে খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ পেট ভরে যাওয়ার খবরটি পাকস্থলীতে অতো দ্রুত যাওয়া সম্ভব হয় না।

আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার ও সরকারি ছুটি

তাই আমাদেরকে অতিরিক্ত না খেয়ে ফেলার জন্য আস্তে আস্তে খাবার খেতে হবে এবং খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। এই খাওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় 'মাইন্ড ফুল ইটিং'। আপনি যদি আস্তে আস্তে খান তাহলে অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন। যদি কোনো কারণে দ্রুত খাবার প্রয়োজন হয়। তাহলে সামান্য পরিমাণ খাবার নিয়ে আপনি খেয়ে শেষ করুন। এতে আপনার বেশি খাবারের সম্ভাবনা থাকবে না।

নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেটের চর্বি কমে যায় 

নিয়মিত ব্যায়াম করলে চর্বি কমে যাবে। আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করেন। তাহলে আপনার চর্বি কমানো খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব। ওজন কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। আপনি যদি চান, তাহলে আপনি পেটের চর্বি বা মেদ কমানোর জন্য করতে পারেন সহজ কিছু ব্যায়াম। ব্যায়াম করার জন্য সবথেকে ভালো সময় বা সুন্দর সময় ভালো সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে।

সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে ওয়ার্ক আউট করুন। দিন শুরু করার আগে আপনি ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে শরীরে অ্যাক্টিভিটি যোগ করে। তারপরে ধীরে ধীরে ব্যায়াম শুরু করুন। এটি আপনার দ্রুত মেদ বা চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন সকাল বেলায় কমপক্ষে 20 মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন। এবং দশ মিনিট হাটা হাটি করার চেষ্টা করবেন।

লেখক এর শেষ কথাঃ কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায় 

আপনি যদি আপনার পেটে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তাহলে আশা করছি আমাদের উপরোক্ত এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক উপকার হয়েছে। আর বর্তমান সময়ে এসে পেটের চর্বি নিয়ে দুশ্চিন্তায় নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। শুধুমাত্র তাই নয় এই পেটের চর্বি বা মেদ এর কারণে হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে।

তাই আমাদেরকে উপরোক্ত পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করে আপনাদের পেটের চর্বি বা মেদ কমাতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। উপরোক্ত আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এবং আপনি নিজে একটি সুন্দর কমেন্ট করা যাবে না। "ধন্যবাদ" 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নাহিদ ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url